বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা সীমান্তের কাছে মিয়ানমারে আবারো ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে নাইকংছড়ি সদর ইউনিয়নের চাকঢালা সীমান্তের ছেরারকুল নামক পাহাড়ি জায়গার কাছে ৪৪ ও ৪৫ নম্বর সীমানা পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় সীমান্তের জিরো পয়েন্টে পর পর দুটি মাইন বিস্ফোরিত হয় বলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছে। তবে এই বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার বিকেলে সীমান্তের উক্ত এলাকায় ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত আব্দুল কাদেরের একটি পা উড়ে গেছে। তার একটি চোখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ বিস্ফোরণে আঘাত প্রাপ্ত হয়। বর্তমানে আব্দুল কাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ওইদিন বিকেলে নাইকংছড়ি সদর ইউনিয়নের ছেরারকুল সীমান্তের কাছে জিরো পয়েন্ট গরু আনতে গেলে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পুঁতে রাখা ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়। তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার সঙ্গে থাকা ভাই  মোহাম্মদ হোসাইন জানান, সীমান্ত এলাকায় গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণের শিকার হয় কাদের। নাইকংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার জানিয়েছেন মাইন বিস্ফোরণে আহত আবদুল কাদের ছেরারকুল গ্রামের মীর আহমদের পুত্র। তারা পুরনো রোহিঙ্গা। তারা আশির দশকে মিয়ানমার থেকে এসে নাইকংছড়িতে বসবাস করছে। ইউপি চেয়ারম্যান জানান সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার প্রান্তে মাইন বিস্ফোরিত হয়েছে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার তারেকুল ইসলাম জানান, কাদেরের ডান পায়ের হাঁটু পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চোখেও মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। তাছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পাওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই তাকে গতকাল রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

ভয়েস/আআ